করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য আরও বাড়ালেন ট্রুডো
করোনাভাইরাস সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আগে থেকেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এবার সেই সহযোগিতার পরিমাণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে কানাডা সরকার। বুধবার কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, করোনা সংকটে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের কর্মী ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সরাসরি ২৭ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার দেবে সরকার। পাশাপাশি, ব্যবসা খাতে তারল্য আনতে ৫৫ বিলিয়ন ডলার ও গৃহস্থালী খাতে করছাড়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানাডার নাগরিকদের জন্য শিশু সুবিধা বাড়িয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করবে সরকার। এ ক্ষেত্রে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাদের বাড়িতে থাকা আবশ্যক বা বৈতনিক ছুটি পাচ্ছেন না তাদের আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে দুই সপ্তাহ পরপর ৯০০ ডলার করে দেবে কানাডা সরকার। ১৫ সপ্তাহ পর্যন্ত চলমান এ ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। যেসব কর্মী আত্মনির্ভর, অসুস্থ, কোয়ারেন্টাইনে আছেন, যাদের এমপ্লয়মেন্ট ইনস্যুরেন্সে অসুস্থতাজনিত সুবিধা নেই, বয়স্ক রোগী বা শিশুদের দেখাশোনার জন্য যাদের বাসায় থাকতে হচ্ছে- এধরনের ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য ১০ শতাংশ মজুরি ভর্তুকি দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে একেকজন কর্মচারী সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৭৫ ডলার ও নিয়োগদাতা ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পাবেন। এই সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং দাতব্য সংস্থাগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেন, এমন কঠিন সময়ে কোনও কানাডিয়ান নাগরিককে ভাড়া বা নিত্যপণ্য কেনা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এজন্যই আমরা অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা সবাই একসঙ্গে এই কঠিন সময় পার হবো। এর আগে, করোনা সংকটকালে বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, ছেলেমেয়েদের স্কুলসহ জনগণের সব খরচের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ পাওয়া খবর অনুসারে, কানাডায় এ পর্যন্ত ৬৪৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন নয়জন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। জাস্টিন ট্রুডোর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী এতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।